পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, কাজের জন্য সৌদি আরবে গমনেচ্ছু বাংলাদেশিদের কোয়ারেন্টাইনের খরচে ভর্তুকি দেবে সরকার। এ বিষয়ে সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য দেন। করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশ থেকে গিয়ে সৌদি আরবের হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হচ্ছে প্রবাসীদের।
তিনি আরও জানান, বিশেষ বিবেচনায় সৌদি গমনেচ্ছুদের ২০ বছর বয়স থেকে টিকা দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনা করছে সরকার। কারণ দুই ডোজ টিকা নেওয়া থাকলে সৌদি আরবে হোটেলের পরিবর্তে বাসায় কোয়ারেন্টাইনের সুযোগ রয়েছে।
তিনি আরও জানান, জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার পাওয়ার বিষয়েও ভাবছে সরকার। এ নিয়ে খুব শিগগিরিই একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সৌদি আরবে যারা যাচ্ছেন, তাদের বাধ্যতামূলকভাবে হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হচ্ছে। ওই সব হোটেল বিভিন্ন মানের। যারা সৌদি আরবে কাজের জন্য যাচ্ছেন, তাদের বেশির ভাগেরই হোটেলের খরচ বহনের সামর্থ্য নেই। এ কারণে কাজের জন্য সৌদি গমনেচ্ছুদের কোয়ারেন্টাইনের ক্ষেত্রে হোটেলে থাকার খরচ সরকারিভাবে বহনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বিমান সংস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে কাজের জন্য যাওয়া নাগরিকদের তালিকা তৈরি করে সৌদি আরবের বাংলাদেশ মিশনকে দেওয়া হবে। বাংলাদেশ মিশন সেখানে তাদের থাকার কোয়ারেন্টানের জন্য হোটেল খরচে ভর্তুকি দেওয়ার ব্যবস্থা করবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, সৌদি আরবে যারা কাজের জন্য যান, তাদের অধিকাংশের বয়স ২০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। কিন্তু আমাদের দেশে টিকা দেওয়া হচ্ছে ৪০ বছরের বেশি নাগরিকদের। আর সৌদি সরকারের নিয়ম হচ্ছে দুই ডোজ টিকা নেওয়া থাকলে এবং কভিড-১৯ টেস্টে নেগেটিভ ফলাফল থাকলে তাদের হোটেলে কোয়ারেন্টাইন করতে হবে না। তাদের বাসায় কোয়ারেন্টানে থাকলেই চলবে। এ কারণে কাজের জন্য সৌদি গমনেচ্ছুদের ২০ বছর বয়স থেকে বিশেষ বিবেচনায় টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা এক ডোজ নিলেই হয়। এ জন্য একটি প্রস্তাব আছে জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা সংগ্রহ করে সৌদি গমনেচ্ছুদের দেওয়া যায় কি-না। খুব শিগগিরিই একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ বিষয়টি আলোচনা হবে।
আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বহু লোক ভারত থেকে এসেছেন। এদের মধ্যে মাত্র ১৩ জনের শরীরে ভারতীয় ধরন পাওয়া গেছে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছেন একজন। তবে সেটাও ব্ল্যাক ফাঙ্গাস কি-না, তা শতভাগ নিশ্চিন্ত হওয়া যায়নি। অথচ বাংলাদেশে ভারতীয় ধরন এবং ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে প্রচারণা হচ্ছে বেশি। এ ধরনের প্রচারণা দুঃখজনক। এ ধরনের প্রচারণার কারণেই সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইংল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, বাহরাইনসহ কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।
Leave a Reply