নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি:
নরসিংদী জেলার জেলা পরিষদের সামনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের ময়লার স্তুপে চরম বিপাকে পড়তে হয় সাধারণ পথচারীদের। বিঘ্ন হয় যান চলাচলও।
অল্প বাতাসে ও বৃষ্টিতে দুর্গন্ধযুক্ত আবর্জনা স্তুপ ছড়িয়ে পড়ে সড়কে। এতে এলাকায় যেমন মশার উপদ্রব বাড়ছে তেমনি দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। তাছাড়া মারাত্মকভাবে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে গার্মেন্টস শ্রমিকরা।
সম্প্রতি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সরেজমিনে গিয়ে এমন জনদুর্ভোগের চিত্রই দেখা গেলো।
সরেজমিনে দেখা যায়, নরসিংদী জেলা পরিষদের সামনে প্রধান রাস্তা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একের পর ময়লা ফেলা হচ্ছে। আর নিত্যদিন এসব ময়লা ফেলছে নরসিংদীর পৌরসভার কর্মীরাই।
এদিকে আজ ২ই জুন রোজ বুধবার স্থানীয়রা সংবাদকর্মী সাইফুল ইসলাম রুদ্র এর নিকট অভিযোগ করে বলেন, পৌরসভার কর্তৃপক্ষের নির্দেশে প্রতিদিনের বাসা-বাড়ির ময়লা- আবর্জনা ফেলানো হচ্ছে মহাসড়কে। যারা নাগরিকদের বিভিন্ন অসুবিধা লাঘবে নিয়োজিত তারাই যদি সেখানে নতুন করে দুর্ভোগ সৃষ্টি তরে তাহলে বাসিন্দারা যাবে কোথায়?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, প্রতিনিয়ত যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে সড়কে চলাচল করতে নানা সমস্যা হচ্ছে। দুর্গন্ধে রাস্তায় হাঁটা যায় না। গাড়ি দিয়ে চলাচল করতে হলেও নাক-মুখ চেপে রাখতে হয়।
বৈশাখী মিলের শ্রমিক শাহিনুর আক্তার ও বিলকিছ বেগম সাংবাদ কর্মী রুদ্র এর নিকট বলেন, ‘মহাসড়কে আবর্জনা ফেলতে নিষেধ করলে পুলিশ দিয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয় পৌরসভার লোকজন। তাই কেউ কিছু বলতেও চায় না।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, গত কয়েকবছর ধরেই মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছিল। এরপর নানা ভাবে অভিযোগ জানানোর পর সড়কের পাশেই ডাস্টবিন নির্মাণ করে পৌরসভার কর্তৃপক্ষরা।
প্রথম প্রথম নিদিষ্ট স্থানে আবর্জনা ফেলা হলেও ক’দিন পর থেকেই আগের মতোই সড়ক দখল করে ময়লার স্তুপ করে রাখেন পৌরসভার কর্মীরা।
স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রতিদিন জেলখানা মোড় থেকে বিভিন্ন মহল্লা থেকে আমি সহ অনেক লোক যাতায়াত করি। জেলা পরিষদের এই এলাকায় ময়লা-আবর্জনার স্তুপের কাছে এলে নাক-মুখ চেপে বসে থাকি। দুর্গন্ধের কারণে নিঃশ্বাস নিতে পারি না, বমিতে নাড়িভুড়ি বের হয়ে আসতে চায়। ’
এ বিষয়ে নরসিংদী পৌরসভার মেয়রের নিকট মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে, তাকে ফোনে পাওয়া যায় নি। পরবর্তীতে পৌরসভায় গিয়ে যোগাযোগ করলে পৌরসভার এক কর্মকর্তা বলেন, যেহেতু আপনি এসেছেন সেহেতু মেয়র মহোদয়কে এ বিষয়টি অবগত করব।
Leave a Reply