একাদশ জাতীয় সংসদের ত্রয়োদশ (বাজেট) অধিবেশন শুরু হয়েছে বুধবার। এই অধিবেশনেই বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা থেকে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন।
এটি দেশের ৫০তম বাজেট এবং আ হ ম মুস্তফা কামালের তৃতীয় বাজেট। অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতার শিরোনাম ‘জীবন-জীবিকায় প্রাধান্য দিয়ে সুদৃঢ় আগামীর পথে বাংলাদেশ’।
অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাজেটকে অধিকতর অংশগ্রহণমূলক করার জন্য অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইটে বাজেটের তথ্য ও দলিল দেওয়া হবে। দেশ-বিদেশ থেকে যে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ওয়েবসাইটে থাকা ফিডব্যাক ফরম পূরণ করে বাজেট সম্পর্কে মতামত ও সুপারিশ জানাতে পারবেন।
অর্থমন্ত্রী এমন এক সময়ে বাজেট দিচ্ছেন, যখন সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা বেড়েছে। যারা কাজ হারিয়েছেন এবং যাদের আয় কমেছে, তারা আগের অবস্থায় ফেরত আসতে চান।
অনানুষ্ঠানিক খাতের ব্যবসায়ী ও কর্মীরা সমস্যায় পড়েছেন সবচেয়ে বেশি। ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ সুযোগ বাড়াতে সরকারের কাছে নানা প্রণোদনা ও কর ছাড় আশা করছেন।
ছয় শতাংশেরও বেশি ঘাটতি থাকা এই বাজেট মোট জিডিপির পরিমাণ ১৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সংসদের মন্ত্রিসভা কক্ষে বিশেষ মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদনের পর এটি উপস্থাপন করা হবে।
সংসদীয় সচিবালয়ের সূত্র জানায়, স্বাভাবিক সময়ের বাজেটের মতো এই অধিবেশন দু সপ্তাহের বেশি হবে না এবং খুব সংক্ষিপ্ত পরিসরে পুরো অধিবেশনটি সম্পন্ন হবে।
গত বছর করোনা মহামারির কারণে বাজেট অধিবেশন ৯ কর্মদিবসের পর স্থগিত করা হয় যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত বাজেট অধিবেশন।
প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রীদের সাথে প্রশ্নোত্তর পর্বে শুধুমাত্র বাজেট এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজের বিষয়ে আলোচনা হবে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে সংসদ সদস্য, মন্ত্রী, সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এবারও কোভিড টেস্টের নেগেটিভ সনদ নিয়ে সংসদ সচিবালয়ে প্রবেশ করবেন। এছাড়া বয়োজ্যেষ্ঠ ও অসুস্থ এমপিদের সংসদ অধিবেশেনে আসতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
দূরত্ব বজায় রাখতে প্রতিদিন ১০০ এরও কম সংসদ সদস্যদের নিয়ে এই অধিবেশন পরিচালনা করা হবে। সংবিধান অনুসারে ৩০ জুনের আগে বাজেট পেশ করার ব্যাপারে বিধিনিষেধ রয়েছে এবং বাজেট চলাকালীন অধিবেশনে সাংসদদের অংশগ্রহণের বিধান রয়েছে।
Leave a Reply