যশোরে করোনা শনাক্তের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় দুইটি পৌরসভায় লকডাউনের বিধিনিষেধ কার্যকর করতে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। বুধবার (০৯ জুন) দুপুরে জেলা প্রশাসক স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তটি জারি করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. সায়েমুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ নির্দেশনা আজ রাত ১২টা ১মিনিট থেকে আগামী ১৬ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত কার্যকর করা হবে।
মঙ্গলবার (০৮ জুন) জেলা করোনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা করোনা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিধিনিষেধ চলাকালীন দুইটি পৌরসভায় গণপরিবহণ বন্ধ থাকবে। এছাড়াও যশোর সদর থেকে যশোর-ঝিকরগাছা-বেনাপোল, যশোর-অভনগর রুটে কোন লোকাল গণপরিবহন চলাচল করতে পারবেনা। তবে রোগী পরিবহনকারী অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি পণ্য বহনকারী ট্রাক এবং জরুরি সেবা দানের ক্ষেত্রে এ আদেশ প্রযোজ্য হবে না। সকল প্রকার হাইওয়ে রোডে আন্তঃজেলা গণপরিবহন সরকার কর্তৃক আরোপিত চলমান স্বাস্থ্য বিধি প্রতিপালনপূর্বক চলাচল করতে পারবে।
এছাড়া কাঁচাবাজার ও নিত্য প্রয়োজনীয় মুদিখানা পণ্যের দোকান, ওষুধের দোকান ব্যতীত সকল ধরণের দোকানপাট, শপিংমল, বিপণিবিতান, পর্যটনস্থল, পার্ক, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
আইন-শৃঙ্খলা ও জরুরি পরিষেবা কৃষি উপকরণ, খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুৎ, পানি, জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, স্থলবন্দরসমূহের কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, গণমাধ্যম, বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাকসেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
খাবারের দোকান ও হোটেল রেস্তোরা যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে খোলা থাকবে। তবে খাবারের দোকান ও হোটেল রেস্তোরাঁ কেবল সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খাদ্য সরবরাহ করা যাবে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জুম্মার নামাজসহ প্রতি ওয়াক্ত নামাজে সর্বোচ্চ ২০ জন মুসল্লি অংশগ্রহণ করা যাবে। ঘর থেকে ওজু করে সুন্নত নামাজ পড়ে মসজিদে আসতে হবে। অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়েও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সমসংখ্যক ব্যক্তি উপাসনা করতে পারবে।
Leave a Reply