বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নির্ভর করছে গণতন্ত্রের মুক্তির উপর। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, সংবাদকর্মীদের নিরাপত্তা, তাদের মুক্তি সব কিছুই নির্ভর করছে গণতন্ত্রের মুক্তির উপর। গণতন্ত্র যদি মুক্ত না হয় তাহলে কখনোই কারো মুক্তি সম্ভব নয়।’ বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে গোলটেবিল আলোচনায় এ কথা বলেন তিনি।
১৯৭৫ সালের ১৬ জুন বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কালো দিবস উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ দিন তৎকালীন চরম কর্তৃত্ববাদী একদলীয় বাকশাল সরকার তাদের অনুগত চারটি সংবাদপত্র ছাড়া বাকিগুলো বন্ধ করে দিয়ে গোটা জাতিকে নির্বাক করে দেয়।’
সারাদেশে সাংবাদিকদের ওপর নিপীড়ন নির্যাতনের জন্য সরকারকে অভিযুক্ত করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদকে দীর্ঘদিন আটকে রাখা হয়। সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীকে প্রায় ৮ মাস ধরে আটক করে রাখা হয়েছে। শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানের মতো সম্পাদক দেশ ত্যাগে বাধ্য হয়েছেন। এছাড়া প্রায় ৬০ জনের বেশি সাংবাদিক দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন শুধু জীবনের ভয়ে।’
তিনি আরও বলেন, আজ যারা দেশে আছেন তারাও লিখতে পারেন না। তাদের সেন্সরশিপ আরোপ করে নিতে হয়েছে জীবনের ভয়ে, জীবিকার ভয়ে, মামলার ভয়ে। সম্প্রতি আমরা দেখেছি কীভাবে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ের ভেতর নির্যাতন করা হলো।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতার চেয়ে সাংবাদিকের স্বাধীনতা বেশি প্রয়োজন। যেটা সাংবাদিকদের বাকস্বাধীনতা বা লেখার স্বাধীনতা।’
স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও মিডিয়া উপ-কমিটির সদস্য সচিব শ্যামা ওবায়েদের সঞ্চালনায় গোলটেবিল আলোচনায় দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুল হাই শিকদার, দৈনিক দিনকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব এমএ আজিজ ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান বক্তব্য রাখেন।
Leave a Reply