মাহাবুব খান আকাশ /নরসিংদী শিবপুর উপজেলা ইউএনও’ কাবিরুল ইসলাম খান বলেন- আমরা যারা একাত্তরের অনেক পরে জন্মগ্রহণ করেছি, মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে পারিনি বলে প্রায় সময়ই আপসোস হয়।আমার মনে হয় এই আপসোস উশুল করার সময় এসেছে এখন।সারা পৃথিবীতে এখন প্রানঘাতী করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলছে।আমরা এমন এক ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছি,যে ভাইরাসকে খালি চোখে দেখা যায়না, যার কোন প্রতিষেধক আবিস্কৃত হয়নি। যদি আমরা বড় কোন ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া এই মহামারী হতে নিষ্কৃতি পাই,তবে বেচে থাকলে আমি গর্বভরে বলতে পারব- ভাইরাসের বিরুদ্ধে সারা পৃথিবীর এই যুদ্ধে আমিও ছিলাম একজন যোদ্ধা।আমি আমার দেশের মানুষকে করোনা ভাইরাস এবং অনাহারে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষার জন্য ঝাপিয়ে পরেছিলাম ভয়ংকর এক যুদ্ধে।আপনিও কি আমার মত করে গর্বভরে বলতে পারবেন এ কথা? সরকার আমাকে যে দ্বায়িত্ব দিয়েছে সে দ্বায়িত্ব পালন ছাড়া দেশের সচেতন একজন নাগরিক হিসেবে আপনিও পারেন এই যুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিতে।এজন্য আপনাকে যে ৩ টি কাজ করতে হবে, সেগুলো হচ্ছে-
১/ ঘরে থাকা ২/ঘরে থাকা এবং ৩/ ঘরে থাকা
কষ্ট করে হলেও কিছুদিনের জন্য ঘরে থাকুন,বার বার সাবান দিয়ে হাত ধোন,সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখুন,প্রয়োজন অনুযায়ী মাস্ক ব্যবহার করুন। কিছুদিনের জন্য আপনার এই ঘরে থাকাটাই হবে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় যুদ্ধ।কারণ আমরা সবাই এখন জানি, বাহক ছাড়া করোনা ভাইরাস একস্থান হতে অন্যস্থানে স্থানান্তর হতে পারেনা এবং এই ভাইরাসকে বহন করে মানুষ।মুক্তিযুদ্ধের সময় পৃথিবীতে ছিলাম না,তাই অস্ত্র হাতে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে পারিনি।এখন যে যুদ্ধে নেমেছে সারা পৃথিবী, আসুন আমি আপনি সবাই ঘরে থাকার মাধ্যমে সে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করি।সবাই মিলে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে আমরা জিতবই ইনশাআল্লাহ। আবার আমাদের পৃথিবী হয়ে উঠবে প্রাণপ্রাচুর্যে ভরপুর ভালোবাসাময় এক পৃথিবী।
Leave a Reply