ঢাকা ১২:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

অন্তঃসত্ত্বা নারীর লাশ উদ্ধার করেছে শিবপুর মডেল থানা পুলিশ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:০২:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ৬১৯ বার পড়া হয়েছে
শিবপুর প্রতিনিধি: নরসিংদীর শিবপুরে গলায় ফাঁস দেয়া এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বজনদের অভিযোগ যৌতুকের জন্য হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে স্বামীর বাড়ির লোকজন। রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার বাঘাব ইউনিয়নের জয়মঙ্গল সামান্দা গ্রামে শিপন মিয়ার বাড়ি থেকে এই লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ওই নারীর নাম নাদিরা বেগম (২০)। তিনি জয়মঙ্গল সামান্দা গ্রামের শিপন মিয়ার স্ত্রী। সে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলো। ঘটনার পর থেকে শিপন মিয়া ও তার পরিবারের অন্য সদস্যরা পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রাতের কোনো এক সময় ঘরের আরার সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দেয় নাদিরা বেগম। রাতেই তার স্বামী শিপন মিয়া শাশুড়ীকে ফোন দিয়ে নাদিরার অসুস্থতার কথা জানিয়ে আসতে বলেন। সকালে নাদিরার মা ফাতেমা বেগম ঘরের মেঝেতে তার মেয়ের লাশ উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখে থানায় গিয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে দুপুর দুইটার দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নাদিরার মা ফাতেমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, গত দুই বছর আগে প্রেম করে শিপন মিয়ার সঙ্গে নাদিরার বিয়ে হয়। ভালোই চলছিলো তাদের দাম্পত্য জীবন। তাদের সাত মাসের একটি কন্যা সন্তানও আছে। কিন্তু গত দুইমাস আগে থেকে যৌতুকের জন্য মারধর করতো নাদিরাকে । গত একসপ্তাহ আগেও বিশ হাজার টাকার জন্য আমার মেয়েকে মারধর করেছে। গতকাল শনিবার রাতে আমার মেয়ে ভয়েস মেসেজ পাঠিয়ে আমাকে ফোন দিতে বলে। আমি কাজে থাকায় রাত দশটার দিকে ফোন দিলে আর ফোন ধরেনি। সকালে এসে মৃত অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখি এবং আমার মেয়েকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়ে এখন সবাই পালিয়ে গেছে।
শিবপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক কামরুজ্জামান বলেন, নাদিরার মা থানায় এসে খবর দিলে ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকা অবস্থায় নাদিরাকে দেখতে পাই। সুরতহাল প্রতিবেদন করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের গলায় ওড়না পেচানো ছিলো এবং গলায় দাগ ছিলো। এবিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Mahbub Khan Akash

"মুক্ত সংবাদ" আপনার মত প্রকাশে সদা জাগ্রত। আমরা কাজ করি সত্যের অন্বেষণে।
ট্যাগস :

অন্তঃসত্ত্বা নারীর লাশ উদ্ধার করেছে শিবপুর মডেল থানা পুলিশ

আপডেট সময় : ০৫:০২:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
শিবপুর প্রতিনিধি: নরসিংদীর শিবপুরে গলায় ফাঁস দেয়া এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বজনদের অভিযোগ যৌতুকের জন্য হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে স্বামীর বাড়ির লোকজন। রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার বাঘাব ইউনিয়নের জয়মঙ্গল সামান্দা গ্রামে শিপন মিয়ার বাড়ি থেকে এই লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ওই নারীর নাম নাদিরা বেগম (২০)। তিনি জয়মঙ্গল সামান্দা গ্রামের শিপন মিয়ার স্ত্রী। সে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলো। ঘটনার পর থেকে শিপন মিয়া ও তার পরিবারের অন্য সদস্যরা পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রাতের কোনো এক সময় ঘরের আরার সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দেয় নাদিরা বেগম। রাতেই তার স্বামী শিপন মিয়া শাশুড়ীকে ফোন দিয়ে নাদিরার অসুস্থতার কথা জানিয়ে আসতে বলেন। সকালে নাদিরার মা ফাতেমা বেগম ঘরের মেঝেতে তার মেয়ের লাশ উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখে থানায় গিয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে দুপুর দুইটার দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নাদিরার মা ফাতেমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, গত দুই বছর আগে প্রেম করে শিপন মিয়ার সঙ্গে নাদিরার বিয়ে হয়। ভালোই চলছিলো তাদের দাম্পত্য জীবন। তাদের সাত মাসের একটি কন্যা সন্তানও আছে। কিন্তু গত দুইমাস আগে থেকে যৌতুকের জন্য মারধর করতো নাদিরাকে । গত একসপ্তাহ আগেও বিশ হাজার টাকার জন্য আমার মেয়েকে মারধর করেছে। গতকাল শনিবার রাতে আমার মেয়ে ভয়েস মেসেজ পাঠিয়ে আমাকে ফোন দিতে বলে। আমি কাজে থাকায় রাত দশটার দিকে ফোন দিলে আর ফোন ধরেনি। সকালে এসে মৃত অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখি এবং আমার মেয়েকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়ে এখন সবাই পালিয়ে গেছে।
শিবপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক কামরুজ্জামান বলেন, নাদিরার মা থানায় এসে খবর দিলে ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকা অবস্থায় নাদিরাকে দেখতে পাই। সুরতহাল প্রতিবেদন করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের গলায় ওড়না পেচানো ছিলো এবং গলায় দাগ ছিলো। এবিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।