ঢাকা ০৪:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

শিবপুরে অবৈধভাবে পল্লী চিকিৎসকের জায়গা দখলের অভিযোগ

শিবপুর প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১০:১০:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ৭০৫ বার পড়া হয়েছে
শিবপুর প্রতিনিধি: নরসিংদীর শিবপুর পৌর এলাকার পশ্চিম পাড়া গ্রামের শিবপুর-দুলালপুর সড়কের পাশে পল্লী চিকিৎসক শংকর চন্দ্র বর্মনের জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী মঞ্জিল ও জমি বিক্রেতা সোলেমানের বিরুদ্ধে। উপজেলার মজলিশপুর গ্রামের মৃত আঃ হামিদ সরকারের ছেলে মঞ্জিল সরকার ও গির্জাপাড়া গ্রামের মৃত ওয়াদুদ ভূঁইয়ার ছেলে সোলেমান ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন একই উপজেলার চক্রধা গ্রামের মধুসূধন বর্মনের ছেলে পল্লী চিকিৎসক শংকর চন্দ্র বর্মন।
শংকর চন্দ্র বর্মন অভিযোগ করেন,আমি ২০১০ সালে সোলেমানের কাছ থেকে ০৩.৬৪ শতাংশ ভিটা ভূমি খরিদ করি এবং বাউন্ডারি ওয়াল নির্মান করে ভোগদখল করে আসছি। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতের আঁধারে মঞ্জিল ও সোলেমানের নেতৃত্বে আরো ৫/৬ অজ্ঞাত ব্যক্তির সহযোগীতায় বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙ্গে আমার জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে আমার আংশিক জমি বেড়া দিয়ে দখল করে। বাউন্ডারি ওয়াল ভাঙ্গায় আমার আনুমানিক দেড় লক্ষ টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরদিন সকালে খবর পেয়ে আমি তাদেরকে বাউন্ডারি ওয়াল ভাঙ্গার কারন জানতে চাইলে এবং বাধা নিষেধ করলে তারা আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। আমি বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন ও মডেল থানায় লিখিতভাবে অবহিত করি এবং স্থানীয় মাতব্বরদের জানালে তারা বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন।কিন্তু অবৈধ দখলকারীরা শুক্রবার ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে কোন প্রকার সমঝোতা না করেই উক্ত দখলকৃত জমিতে জোরপূর্বক ঘর নির্মান শুরু করে। আমিসহ স্থানীয় মাতব্বরগণ একাধিকবার ঘর নির্মানে নিষেধ করলেও মঞ্জিল ও তার স্ত্রী কারো কথার কর্ণপাত না করে আমার জমিতে ঘর নির্মান অব্যাহত রাখে।
এব্যাপারে সরেজমিনে গিয়ে ঘর নির্মানকালীন সময় উপস্থিত মঞ্জিলের স্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমার স্বামী মঞ্জিল জমির মালিক সোলেমানের কাছ থেকে ১:১০ শতাংশ জমি ক্রয় করেছে।সোলেমান নিজে বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙ্গে আমাদেরকে ১:১০ শতাংশ জায়গা বুঝিয়ে দিয়েছে তাই আমি আমাদের জায়গায় ঘর নির্মান করছি।কারো কথায় আমি ঘর নির্মান বন্ধ করবোনা।আইনানুগভাবে যদি আমরা জায়গার মালিক না হয়ে থাকি তখন আমরা ঘর উঠিয়ে নিয়ে যাব।
অপরদিকে,ভোক্তভোগী শংকর অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে তার খরিদকৃত প্রাপ্য জমি আদায়ের লক্ষ্যে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Mahbub Khan Akash

"মুক্ত সংবাদ" আপনার মত প্রকাশে সদা জাগ্রত। আমরা কাজ করি সত্যের অন্বেষণে।
ট্যাগস :

শিবপুরে অবৈধভাবে পল্লী চিকিৎসকের জায়গা দখলের অভিযোগ

আপডেট সময় : ১০:১০:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
শিবপুর প্রতিনিধি: নরসিংদীর শিবপুর পৌর এলাকার পশ্চিম পাড়া গ্রামের শিবপুর-দুলালপুর সড়কের পাশে পল্লী চিকিৎসক শংকর চন্দ্র বর্মনের জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী মঞ্জিল ও জমি বিক্রেতা সোলেমানের বিরুদ্ধে। উপজেলার মজলিশপুর গ্রামের মৃত আঃ হামিদ সরকারের ছেলে মঞ্জিল সরকার ও গির্জাপাড়া গ্রামের মৃত ওয়াদুদ ভূঁইয়ার ছেলে সোলেমান ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন একই উপজেলার চক্রধা গ্রামের মধুসূধন বর্মনের ছেলে পল্লী চিকিৎসক শংকর চন্দ্র বর্মন।
শংকর চন্দ্র বর্মন অভিযোগ করেন,আমি ২০১০ সালে সোলেমানের কাছ থেকে ০৩.৬৪ শতাংশ ভিটা ভূমি খরিদ করি এবং বাউন্ডারি ওয়াল নির্মান করে ভোগদখল করে আসছি। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতের আঁধারে মঞ্জিল ও সোলেমানের নেতৃত্বে আরো ৫/৬ অজ্ঞাত ব্যক্তির সহযোগীতায় বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙ্গে আমার জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে আমার আংশিক জমি বেড়া দিয়ে দখল করে। বাউন্ডারি ওয়াল ভাঙ্গায় আমার আনুমানিক দেড় লক্ষ টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরদিন সকালে খবর পেয়ে আমি তাদেরকে বাউন্ডারি ওয়াল ভাঙ্গার কারন জানতে চাইলে এবং বাধা নিষেধ করলে তারা আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। আমি বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন ও মডেল থানায় লিখিতভাবে অবহিত করি এবং স্থানীয় মাতব্বরদের জানালে তারা বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন।কিন্তু অবৈধ দখলকারীরা শুক্রবার ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে কোন প্রকার সমঝোতা না করেই উক্ত দখলকৃত জমিতে জোরপূর্বক ঘর নির্মান শুরু করে। আমিসহ স্থানীয় মাতব্বরগণ একাধিকবার ঘর নির্মানে নিষেধ করলেও মঞ্জিল ও তার স্ত্রী কারো কথার কর্ণপাত না করে আমার জমিতে ঘর নির্মান অব্যাহত রাখে।
এব্যাপারে সরেজমিনে গিয়ে ঘর নির্মানকালীন সময় উপস্থিত মঞ্জিলের স্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমার স্বামী মঞ্জিল জমির মালিক সোলেমানের কাছ থেকে ১:১০ শতাংশ জমি ক্রয় করেছে।সোলেমান নিজে বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙ্গে আমাদেরকে ১:১০ শতাংশ জায়গা বুঝিয়ে দিয়েছে তাই আমি আমাদের জায়গায় ঘর নির্মান করছি।কারো কথায় আমি ঘর নির্মান বন্ধ করবোনা।আইনানুগভাবে যদি আমরা জায়গার মালিক না হয়ে থাকি তখন আমরা ঘর উঠিয়ে নিয়ে যাব।
অপরদিকে,ভোক্তভোগী শংকর অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে তার খরিদকৃত প্রাপ্য জমি আদায়ের লক্ষ্যে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।