ঢাকা ০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বিয়ের নামে দেনমোহর আদায় করাই যার কাজ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:১৭:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২২
  • / ৬৩৩ বার পড়া হয়েছে

 নরসিংদী প্রতিনিধি : মুসলিম বিবাহের শরিয়া মোতাবেক বিবাহের পর বাসর রাতে স্বামী তার বিবাহিত স্ত্রীকে আগেই দেনমোহর পরিশোধ করা উত্তম। দেনমোহর দ্রুত পরিশোধ করা প্রত্যেক স্বামীর জন্য ফরজ। বর্তমান সময়ে কিছু নারীর জন্য  পুরুষ জাতি হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। এখন চলছে দেনমোহর ফ্যাশন মহাসগৌরবে। প্রেমের বিয়ে, ইয়ে করে বিয়ে, পারিবারিক পছন্দে কিংবা ঘটকের কল্যাণে বিয়ে হোক না কেন, দেনমোহর সর্বনিম্ন দুই লক্ষ টাকা হতে হবে।

এমনই একটি ঘটনা ঘটে নরসিংদীর জেলার বেলাব উপজেলার চরবেলাব গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে ইতালি প্রবাসী আশরাফুল ইসলাম (আপেল) এর সাথে। গত ২২ আগস্ট একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে  ভাইরাল হলে এর সূত্র ধরে এগুলে বের হয়ে আসে থলের বিড়াল ( আসল নেপথ্যের কাহিনী)। রায়পুরা উপজেলার কাটাঘাট বাজারের ব্রাহ্মণটেক গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে শরিফা ইসলাম ওরফে রিফাত ইসলাম (৫০) বাদী হয়ে তার দেবর নবেল মিয়া ও শাশুড়ি মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে নরসিংদী জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে গত ১২/১০/২০২১ অভিযোগ দায়ের করেন। পরে লিগ্যাল এইড ২৪/১০/২০২১ তাদের দুইজনকে স্বশরীরে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে জেলা লিগ্যাল এইড এর দুই (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) সহকারী জজ আরোবিয়া খানম ও এলিছ জাহান এর আদেশে ৫ কিস্তির মাধ্যমে অভিযোগকারিনী শরিফা ইসলাম ওরফে রিফাত ইসলামের দেনমোহরকৃত ২০০০০০/= (দুই লক্ষ) টাকা ও ৩ মাসের খোরাকি বাবদ ১৫০০০/= (পনের হাজার) টাকাসহ সর্বমোট ২১৫০০০/= (দুই লক্ষ পনের হাজার)টাকা বিবাদীগণ পরিশোধ করেন। উক্ত টাকা অভিযোগকারিনী বুঝিয়া পাইয়া তা গ্রহনও করেন। কিন্তু বাদ সাজে অন্যত্রে। টাকা পাওয়ার পরও বিবাদীদেরকে সমাজে হেয়ও করার উদ্দেশ্যে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন শরিফা ইসলাম ওরফে রিফাত। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেন। এরই সূত্র ধরে জানা যায় যে, শরিফা ইসলাম ওরফে রিফাত ইসলাম এর রায়পুরা উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের রাম নগর (মতিউর নগর) গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত শফিকুল ইসলাম ভূইয়া (রৌজ) এর ২য় স্ত্রী। তার রয়েছে ফারহান, নাবিল ও রিকি নামে ৩টি সন্তান। বড় ছেলে ফারহান বিয়ে করে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে নরসিংদী সদরে বসবাস করেন। আর ছোট মেয়ে রিকি এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্রী। শরিফা ইসলাম বর্তমানে রায়পুরা উপজেলার মরজাল নামক এলাকায় দুইসন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন।এবিষয়ে শরিফা ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি (মুঠোফোন) বলেন, ১০ বছর আগে পারিবারিকভাবে আমার বিয়ে হয় চরবেলাব গ্রামের আশরাফুল ইসলাম (আপেল) এর সাথে। সে নারী লোভী ও নেশাখোর ছিলো। বিয়ের কয়েক মাস পর আমার গর্ভে সন্তান আসলে সে আমাকে মারধর করে। কেন গর্ভবতী হলাম? সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপও দেয়। কিন্তু তাতে আমি রাজি না হওয়ায় প্রতিনিয়ত আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করত। আশরাফুলের (প্রাক্তন স্বামী) ছোট ভাই নভেল ও তার লোকজন আমাকে ধর্ষণ করতে চেয়েছিল। আমি আমার স্বামীর খোঁজ নিতে গেলে নভেল ও তার আত্মীয় স্বজনরা বলেন আশরাফুল অন্যত্রে বিয়ে করে ফেলেছে। পরে তারা আমাকে আমার স্বামীর বাড়ি থেকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। শরিফার নিকট স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া স্বামীর ২য় বিয়ে? আপনাদের পছন্দের বিয়ে নাকি পারিবারিক বিয়ে? স্বামী ও দেবর কর্তৃক শারীরিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় কোনো অভিযোগ? আপনার অন্যত্রে আগে বিয়ে হয়েছিল কিনা? এসব প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমার আগে কোনো বিয়ে হয়নি। আমি কুমারী ছিলাম। থানায় কোনো অভিযোগ করিনি। ভেবেছিলাম সে যদি ভাল হয়। আমাদের বিয়ে দুই পরিবারের সম্মতি রয়েছে বলে তিনি তার ফোনের লাইনটি কেটে দেন। আশরাফুল ইসলাম ( রিফাত এর প্রাক্তন স্বামী) বলেন, আমরা দুইজনে একে অপরকে পছন্দ করি এবং নারায়ণপুর কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করি। বিয়ে সম্পর্কে আমার পরিবার জানতো না। আমার সাথে বিয়ে হওয়ার আগে শরিফার একাধিক বিয়ে হয়েছিল সে সম্পর্কে আমার জানা ছিলনা। বিয়ের কয়েকমাস পর জানতে পারলাম মুছাপুর ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া (রৌজ) এর সাথে তার বিয়ে হয়। ওই সংসারে তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে আছে। আমি রাগে কষ্টে বিদেশ চলে যাই। প্রতিনিয়ত সে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল। পরে গত ৬/১/২০১৪ সালে তাকে তালাক দেই। সে বিয়ের কাবিননামায়ও তথ্য গোপন রাখে। সে তালাকের ৭ বছর পর দেনমোহরের জন্য অভিযোগ করে। আমার অনুপস্থিতিতে তার দেনমোহর ও অন্যান্য টাকা পরিশোধ করি। বর্তমানে তার জিম্মায় আমার ৮ বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। এখন সে আমার এ কন্যাসন্তানকে পূঁজি করে ভিন্নকৌশল অবলম্বন করার পাঁয়তারা করছে। বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। সে আমার মেয়েকে যেকোন সময় হত্যা করতে পারে। আমার মেয়ের পৃতপরিচয়ের জন্য আমি আইনি আশ্রয় নিবো। আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি। নভেল বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শরিফার যে কথাগুলো বলেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমাদের পরিবারকে হেয় করার জন্যই উদ্দেশ্যপর্নিতভাবে কথাগুলো বলা হয়েছে। আমাকে জড়িত যে ধরণের কুরুচিপূর্ণ কথা বলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমার ভাইয়ের বিয়ের বিষয়ে আমি ও আমার পরিবার কিছুই জানতামনা। পরে জানতে পারি তিনি শরিফা নামে এক মধ্যবয়সী নারীকে বিয়ে করেছেন। আমরা প্রথমত না মানলেও পরে মেনে নেই। সংসার করার অবস্থায় জানাজানি হয় যে সে (শরিফা) একাধিক বিয়েতে আবদ্ধ ছিলেন। আপনাদের নিকট প্রশ্ন? যদি তাকে
স্বামী ও দেবর কর্তৃক শারীরিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় কোনো অভিযোগ? আপনার অন্যত্রে আগে বিয়ে হয়েছিল কিনা? এসব প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমার আগে কোনো বিয়ে হয়নি। আমি কুমারী ছিলাম। থানায় কোনো অভিযোগ করিনি। ভেবেছিলাম সে যদি ভাল হয়। আমাদের বিয়ে দুই পরিবারের সম্মতি রয়েছে বলে তিনি তার ফোনের লাইনটি কেটে দেন। আশরাফুল ইসলাম ( রিফাত এর প্রাক্তন স্বামী) বলেন, আমরা দুইজনে একে অপরকে পছন্দ করি এবং নারায়ণপুর কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করি। বিয়ে সম্পর্কে আমার পরিবার জানতো না। আমার সাথে বিয়ে হওয়ার আগে শরিফার একাধিক বিয়ে হয়েছিল সে সম্পর্কে আমার জানা ছিলনা। বিয়ের কয়েকমাস পর জানতে পারলাম মুছাপুর ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া (রৌজ) এর সাথে তার বিয়ে হয়। ওই সংসারে তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে আছে। আমি রাগে কষ্টে বিদেশ চলে যাই। প্রতিনিয়ত সে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল। পরে গত ৬/১/২০১৪ সালে তাকে তালাক দেই। সে বিয়ের কাবিননামায়ও তথ্য গোপন রাখে। সে তালাকের ৭ বছর পর দেনমোহরের জন্য অভিযোগ করে। আমার অনুপস্থিতিতে তার দেনমোহর ও অন্যান্য টাকা পরিশোধ করি। বর্তমানে তার জিম্মায় আমার ৮ বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। এখন সে আমার এ কন্যাসন্তানকে পূঁজি করে ভিন্নকৌশল অবলম্বন করার পাঁয়তারা করছে। বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। সে আমার মেয়েকে যেকোন সময় হত্যা করতে পারে। আমার মেয়ের পৃতপরিচয়ের জন্য আমি আইনি আশ্রয় নিবো। আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি। নভেল বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শরিফার যে কথাগুলো বলেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমাদের পরিবারকে হেয় করার জন্যই উদ্দেশ্যপর্নিতভাবে কথাগুলো বলা হয়েছে। আমাকে জড়িত যে ধরণের কুরুচিপূর্ণ কথা বলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমার ভাইয়ের বিয়ের বিষয়ে আমি ও আমার পরিবার কিছুই জানতামনা। পরে জানতে পারি তিনি শরিফা নামে এক মধ্যবয়সী নারীকে বিয়ে করেছেন। আমরা প্রথমত না মানলেও পরে মেনে নেই। সংসার করার অবস্থায় জানাজানি হয় যে সে (শরিফা) একাধিক বিয়েতে আবদ্ধ ছিলেন। আপনাদের নিকট প্রশ্ন? যদি তাকে নির্যাতনই করা হতো তাহলে তিনি থানায় জানালেন না কেন? ডিভোর্সের ৭ বছর পর তিনি দেনমোহরের জন্য অভিযোগ করলেন কেন? তার একমাত্র কাজই হচ্ছে বিভিন্ন পুরুষদের সাথে কৌশলে বিয়ে করা এবং দেনমোহর আদায় করে নেওয়া। রায়পুরা উপজেলা মুক্তিযুদ্ধা কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নজরুল ইসলাম প্রতিবেদককে বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া (রৌজ) ও তার পরিবারকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। তার প্রথম স্ত্রীর নাম ছিল জোৎস্না। সে এক পুত্রসন্তান রেখে মারা যায়। পরে সে রিফা নামে একমহিলা কে বিয়ে করেন। ওই সংসারে আমার জানা মতে দুই পুত্র ও এক কন্যাসন্তান রয়েছে। তারা দীর্ঘদিন যাবত ধরে রামনগরে বসবাস করেন না। সে কিনা মরজাল নামক এলাকাতে ভাড়া বাসায় তাদের নিয়ে বসবাস করেন। যদি তার (রিফা) অন্যত্রে বিয়ে হয়ে থাকে তাহলে সে মুক্তিযুদ্ধের ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারেনা। এখন থেকে এ সুবিধা ভোগ করবে তার সন্তানাদিরা। ১ম স্ত্রীর একমাত্র সন্তান শাফায়েত উল্লাহ ভূইয়া মুঠোফোনে জানান যে, আমার বাবা শফিকুল ইসলাম ভূইয়া (রৌজ) একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আমার মা ১৯৯২ সালে ইন্তেকাল করেন। পরে আমার বাবা ১৯৯৬/৯৭ সালে শরিফা ইসলাম (রিফা) নামে একমহিলা কে (দ্বিতীয়) বিয়ে করেন। বাবা ২০০৬ সালে মারা যাওয়ার পর আমি ঢাকাতে বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করি। দীর্ঘদিন ধরে তাদের সাথে আমার কোন যোগাযোগ হয়না। আমার জানামতে তার সংসারে দুইছেলে একমেয়ে রয়েছে। সর্বশেষ এও জানি যে তাদের বড়ছেলে ফারহান বিয়ে করে নরসিংদীর সদরে কোনো এক জায়গায় বসবাস করেন। আর মেয়ে এইচএসসির ২য় বর্ষের ছাত্রী। মেয়ে ও ছেলেকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন তিনি। অন্যত্রে বিয়ের সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Mahbub Khan Akash

"মুক্ত সংবাদ" আপনার মত প্রকাশে সদা জাগ্রত। আমরা কাজ করি সত্যের অন্বেষণে।
ট্যাগস :

বিয়ের নামে দেনমোহর আদায় করাই যার কাজ

আপডেট সময় : ০৪:১৭:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২২

 নরসিংদী প্রতিনিধি : মুসলিম বিবাহের শরিয়া মোতাবেক বিবাহের পর বাসর রাতে স্বামী তার বিবাহিত স্ত্রীকে আগেই দেনমোহর পরিশোধ করা উত্তম। দেনমোহর দ্রুত পরিশোধ করা প্রত্যেক স্বামীর জন্য ফরজ। বর্তমান সময়ে কিছু নারীর জন্য  পুরুষ জাতি হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। এখন চলছে দেনমোহর ফ্যাশন মহাসগৌরবে। প্রেমের বিয়ে, ইয়ে করে বিয়ে, পারিবারিক পছন্দে কিংবা ঘটকের কল্যাণে বিয়ে হোক না কেন, দেনমোহর সর্বনিম্ন দুই লক্ষ টাকা হতে হবে।

এমনই একটি ঘটনা ঘটে নরসিংদীর জেলার বেলাব উপজেলার চরবেলাব গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে ইতালি প্রবাসী আশরাফুল ইসলাম (আপেল) এর সাথে। গত ২২ আগস্ট একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে  ভাইরাল হলে এর সূত্র ধরে এগুলে বের হয়ে আসে থলের বিড়াল ( আসল নেপথ্যের কাহিনী)। রায়পুরা উপজেলার কাটাঘাট বাজারের ব্রাহ্মণটেক গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে শরিফা ইসলাম ওরফে রিফাত ইসলাম (৫০) বাদী হয়ে তার দেবর নবেল মিয়া ও শাশুড়ি মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে নরসিংদী জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে গত ১২/১০/২০২১ অভিযোগ দায়ের করেন। পরে লিগ্যাল এইড ২৪/১০/২০২১ তাদের দুইজনকে স্বশরীরে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে জেলা লিগ্যাল এইড এর দুই (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) সহকারী জজ আরোবিয়া খানম ও এলিছ জাহান এর আদেশে ৫ কিস্তির মাধ্যমে অভিযোগকারিনী শরিফা ইসলাম ওরফে রিফাত ইসলামের দেনমোহরকৃত ২০০০০০/= (দুই লক্ষ) টাকা ও ৩ মাসের খোরাকি বাবদ ১৫০০০/= (পনের হাজার) টাকাসহ সর্বমোট ২১৫০০০/= (দুই লক্ষ পনের হাজার)টাকা বিবাদীগণ পরিশোধ করেন। উক্ত টাকা অভিযোগকারিনী বুঝিয়া পাইয়া তা গ্রহনও করেন। কিন্তু বাদ সাজে অন্যত্রে। টাকা পাওয়ার পরও বিবাদীদেরকে সমাজে হেয়ও করার উদ্দেশ্যে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন শরিফা ইসলাম ওরফে রিফাত। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেন। এরই সূত্র ধরে জানা যায় যে, শরিফা ইসলাম ওরফে রিফাত ইসলাম এর রায়পুরা উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের রাম নগর (মতিউর নগর) গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত শফিকুল ইসলাম ভূইয়া (রৌজ) এর ২য় স্ত্রী। তার রয়েছে ফারহান, নাবিল ও রিকি নামে ৩টি সন্তান। বড় ছেলে ফারহান বিয়ে করে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে নরসিংদী সদরে বসবাস করেন। আর ছোট মেয়ে রিকি এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্রী। শরিফা ইসলাম বর্তমানে রায়পুরা উপজেলার মরজাল নামক এলাকায় দুইসন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন।এবিষয়ে শরিফা ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি (মুঠোফোন) বলেন, ১০ বছর আগে পারিবারিকভাবে আমার বিয়ে হয় চরবেলাব গ্রামের আশরাফুল ইসলাম (আপেল) এর সাথে। সে নারী লোভী ও নেশাখোর ছিলো। বিয়ের কয়েক মাস পর আমার গর্ভে সন্তান আসলে সে আমাকে মারধর করে। কেন গর্ভবতী হলাম? সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপও দেয়। কিন্তু তাতে আমি রাজি না হওয়ায় প্রতিনিয়ত আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করত। আশরাফুলের (প্রাক্তন স্বামী) ছোট ভাই নভেল ও তার লোকজন আমাকে ধর্ষণ করতে চেয়েছিল। আমি আমার স্বামীর খোঁজ নিতে গেলে নভেল ও তার আত্মীয় স্বজনরা বলেন আশরাফুল অন্যত্রে বিয়ে করে ফেলেছে। পরে তারা আমাকে আমার স্বামীর বাড়ি থেকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। শরিফার নিকট স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া স্বামীর ২য় বিয়ে? আপনাদের পছন্দের বিয়ে নাকি পারিবারিক বিয়ে? স্বামী ও দেবর কর্তৃক শারীরিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় কোনো অভিযোগ? আপনার অন্যত্রে আগে বিয়ে হয়েছিল কিনা? এসব প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমার আগে কোনো বিয়ে হয়নি। আমি কুমারী ছিলাম। থানায় কোনো অভিযোগ করিনি। ভেবেছিলাম সে যদি ভাল হয়। আমাদের বিয়ে দুই পরিবারের সম্মতি রয়েছে বলে তিনি তার ফোনের লাইনটি কেটে দেন। আশরাফুল ইসলাম ( রিফাত এর প্রাক্তন স্বামী) বলেন, আমরা দুইজনে একে অপরকে পছন্দ করি এবং নারায়ণপুর কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করি। বিয়ে সম্পর্কে আমার পরিবার জানতো না। আমার সাথে বিয়ে হওয়ার আগে শরিফার একাধিক বিয়ে হয়েছিল সে সম্পর্কে আমার জানা ছিলনা। বিয়ের কয়েকমাস পর জানতে পারলাম মুছাপুর ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া (রৌজ) এর সাথে তার বিয়ে হয়। ওই সংসারে তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে আছে। আমি রাগে কষ্টে বিদেশ চলে যাই। প্রতিনিয়ত সে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল। পরে গত ৬/১/২০১৪ সালে তাকে তালাক দেই। সে বিয়ের কাবিননামায়ও তথ্য গোপন রাখে। সে তালাকের ৭ বছর পর দেনমোহরের জন্য অভিযোগ করে। আমার অনুপস্থিতিতে তার দেনমোহর ও অন্যান্য টাকা পরিশোধ করি। বর্তমানে তার জিম্মায় আমার ৮ বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। এখন সে আমার এ কন্যাসন্তানকে পূঁজি করে ভিন্নকৌশল অবলম্বন করার পাঁয়তারা করছে। বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। সে আমার মেয়েকে যেকোন সময় হত্যা করতে পারে। আমার মেয়ের পৃতপরিচয়ের জন্য আমি আইনি আশ্রয় নিবো। আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি। নভেল বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শরিফার যে কথাগুলো বলেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমাদের পরিবারকে হেয় করার জন্যই উদ্দেশ্যপর্নিতভাবে কথাগুলো বলা হয়েছে। আমাকে জড়িত যে ধরণের কুরুচিপূর্ণ কথা বলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমার ভাইয়ের বিয়ের বিষয়ে আমি ও আমার পরিবার কিছুই জানতামনা। পরে জানতে পারি তিনি শরিফা নামে এক মধ্যবয়সী নারীকে বিয়ে করেছেন। আমরা প্রথমত না মানলেও পরে মেনে নেই। সংসার করার অবস্থায় জানাজানি হয় যে সে (শরিফা) একাধিক বিয়েতে আবদ্ধ ছিলেন। আপনাদের নিকট প্রশ্ন? যদি তাকে
স্বামী ও দেবর কর্তৃক শারীরিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় কোনো অভিযোগ? আপনার অন্যত্রে আগে বিয়ে হয়েছিল কিনা? এসব প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমার আগে কোনো বিয়ে হয়নি। আমি কুমারী ছিলাম। থানায় কোনো অভিযোগ করিনি। ভেবেছিলাম সে যদি ভাল হয়। আমাদের বিয়ে দুই পরিবারের সম্মতি রয়েছে বলে তিনি তার ফোনের লাইনটি কেটে দেন। আশরাফুল ইসলাম ( রিফাত এর প্রাক্তন স্বামী) বলেন, আমরা দুইজনে একে অপরকে পছন্দ করি এবং নারায়ণপুর কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করি। বিয়ে সম্পর্কে আমার পরিবার জানতো না। আমার সাথে বিয়ে হওয়ার আগে শরিফার একাধিক বিয়ে হয়েছিল সে সম্পর্কে আমার জানা ছিলনা। বিয়ের কয়েকমাস পর জানতে পারলাম মুছাপুর ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া (রৌজ) এর সাথে তার বিয়ে হয়। ওই সংসারে তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে আছে। আমি রাগে কষ্টে বিদেশ চলে যাই। প্রতিনিয়ত সে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল। পরে গত ৬/১/২০১৪ সালে তাকে তালাক দেই। সে বিয়ের কাবিননামায়ও তথ্য গোপন রাখে। সে তালাকের ৭ বছর পর দেনমোহরের জন্য অভিযোগ করে। আমার অনুপস্থিতিতে তার দেনমোহর ও অন্যান্য টাকা পরিশোধ করি। বর্তমানে তার জিম্মায় আমার ৮ বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। এখন সে আমার এ কন্যাসন্তানকে পূঁজি করে ভিন্নকৌশল অবলম্বন করার পাঁয়তারা করছে। বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। সে আমার মেয়েকে যেকোন সময় হত্যা করতে পারে। আমার মেয়ের পৃতপরিচয়ের জন্য আমি আইনি আশ্রয় নিবো। আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি। নভেল বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শরিফার যে কথাগুলো বলেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমাদের পরিবারকে হেয় করার জন্যই উদ্দেশ্যপর্নিতভাবে কথাগুলো বলা হয়েছে। আমাকে জড়িত যে ধরণের কুরুচিপূর্ণ কথা বলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমার ভাইয়ের বিয়ের বিষয়ে আমি ও আমার পরিবার কিছুই জানতামনা। পরে জানতে পারি তিনি শরিফা নামে এক মধ্যবয়সী নারীকে বিয়ে করেছেন। আমরা প্রথমত না মানলেও পরে মেনে নেই। সংসার করার অবস্থায় জানাজানি হয় যে সে (শরিফা) একাধিক বিয়েতে আবদ্ধ ছিলেন। আপনাদের নিকট প্রশ্ন? যদি তাকে নির্যাতনই করা হতো তাহলে তিনি থানায় জানালেন না কেন? ডিভোর্সের ৭ বছর পর তিনি দেনমোহরের জন্য অভিযোগ করলেন কেন? তার একমাত্র কাজই হচ্ছে বিভিন্ন পুরুষদের সাথে কৌশলে বিয়ে করা এবং দেনমোহর আদায় করে নেওয়া। রায়পুরা উপজেলা মুক্তিযুদ্ধা কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নজরুল ইসলাম প্রতিবেদককে বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া (রৌজ) ও তার পরিবারকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। তার প্রথম স্ত্রীর নাম ছিল জোৎস্না। সে এক পুত্রসন্তান রেখে মারা যায়। পরে সে রিফা নামে একমহিলা কে বিয়ে করেন। ওই সংসারে আমার জানা মতে দুই পুত্র ও এক কন্যাসন্তান রয়েছে। তারা দীর্ঘদিন যাবত ধরে রামনগরে বসবাস করেন না। সে কিনা মরজাল নামক এলাকাতে ভাড়া বাসায় তাদের নিয়ে বসবাস করেন। যদি তার (রিফা) অন্যত্রে বিয়ে হয়ে থাকে তাহলে সে মুক্তিযুদ্ধের ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারেনা। এখন থেকে এ সুবিধা ভোগ করবে তার সন্তানাদিরা। ১ম স্ত্রীর একমাত্র সন্তান শাফায়েত উল্লাহ ভূইয়া মুঠোফোনে জানান যে, আমার বাবা শফিকুল ইসলাম ভূইয়া (রৌজ) একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আমার মা ১৯৯২ সালে ইন্তেকাল করেন। পরে আমার বাবা ১৯৯৬/৯৭ সালে শরিফা ইসলাম (রিফা) নামে একমহিলা কে (দ্বিতীয়) বিয়ে করেন। বাবা ২০০৬ সালে মারা যাওয়ার পর আমি ঢাকাতে বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করি। দীর্ঘদিন ধরে তাদের সাথে আমার কোন যোগাযোগ হয়না। আমার জানামতে তার সংসারে দুইছেলে একমেয়ে রয়েছে। সর্বশেষ এও জানি যে তাদের বড়ছেলে ফারহান বিয়ে করে নরসিংদীর সদরে কোনো এক জায়গায় বসবাস করেন। আর মেয়ে এইচএসসির ২য় বর্ষের ছাত্রী। মেয়ে ও ছেলেকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন তিনি। অন্যত্রে বিয়ের সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে জানান তিনি।