ঢাকা ০২:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রায়পুরায় এসএসসিতে ফেল করায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৪২:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর ২০২২
  • / ৬২৪ বার পড়া হয়েছে

রায়পুরা প্রতিনিধি: নরসিংদীর রায়পুরায় এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় সাদিয়া আক্তার (১৫) নামে এক শিক্ষার্থী ফ্যানের সঙ্গে উড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের সাধুনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সাদিয়া আক্তার সাধুনগর গ্রামের সোহরাফ মিয়ার মেয়ে। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় সে আলহাজ বজলুল হক জে এম উচ্চবিদ্যালয় (জয়নগর) থেকে মানবিক বিভাগে অংশ নেয়। এতে ইংরেজি দ্বিতীয় ও গণিত বিষয়ে কম নম্বর পেয়ে অকৃতকার্য হয়।

পুলিশ ও স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, নিহত ওই শিক্ষার্থী গত সোমবার সহপাঠীদের সঙ্গে বিদ্যালয়ে এসে এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার খবর পান। বাড়িতে এসে কান্নাকাটি করতে দেখে প্রতিবেশী ও স্বজনরা তাকে সান্ত্বনা দেন। রাতে ওই শিক্ষার্থী বড় বোনের মুঠোফোনে মন খারাপের বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে বড় বোন শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়ি আসে। তখন ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পান তিনি।

এরপর অনেক ডাকাডাকি করে ওই কিশোরীর সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীদের নিয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখতে পায় ওড়না গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে স্থানীয়রা রায়পুরা থানা পুলিশকে খবর দেন।

খবর পেয়ে রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক মো. নাসির উদ্দিন ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে।

জানা যায়, ১৩ বছর আগে নিহতের বাবা মায়ের ছাড়াছাড়ি হয়। তারপর থেকে ওই কিশোরী বাবার সঙ্গে বাড়িতে একা বসবাস করছিল।

নিহতের চাচাত ভাই জুয়েল মিয়া জানান, গতকাল পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় এ নিয়ে মন খারাপ করে কান্নাকাটি করে। তার বাবা বাড়ির বাইরে কাজে ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় একা ঘরে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।

নিহতের বান্ধবী লিজা জানান, পরীক্ষায় ফেল করার পর থেকে রাত পর্যন্ত কান্নাকাটি করেছে। বাড়ির সবাই বোর্ডে পুনরায় যাচাইয়ের জন্য আবেদন করা হবে বলে সান্ত্বনা দেয়।

রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক মো. নাসির উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করি। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Mahbub Khan Akash

"মুক্ত সংবাদ" আপনার মত প্রকাশে সদা জাগ্রত। আমরা কাজ করি সত্যের অন্বেষণে।
ট্যাগস :

রায়পুরায় এসএসসিতে ফেল করায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

আপডেট সময় : ০৪:৪২:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর ২০২২

রায়পুরা প্রতিনিধি: নরসিংদীর রায়পুরায় এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় সাদিয়া আক্তার (১৫) নামে এক শিক্ষার্থী ফ্যানের সঙ্গে উড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের সাধুনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সাদিয়া আক্তার সাধুনগর গ্রামের সোহরাফ মিয়ার মেয়ে। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় সে আলহাজ বজলুল হক জে এম উচ্চবিদ্যালয় (জয়নগর) থেকে মানবিক বিভাগে অংশ নেয়। এতে ইংরেজি দ্বিতীয় ও গণিত বিষয়ে কম নম্বর পেয়ে অকৃতকার্য হয়।

পুলিশ ও স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, নিহত ওই শিক্ষার্থী গত সোমবার সহপাঠীদের সঙ্গে বিদ্যালয়ে এসে এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার খবর পান। বাড়িতে এসে কান্নাকাটি করতে দেখে প্রতিবেশী ও স্বজনরা তাকে সান্ত্বনা দেন। রাতে ওই শিক্ষার্থী বড় বোনের মুঠোফোনে মন খারাপের বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে বড় বোন শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়ি আসে। তখন ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পান তিনি।

এরপর অনেক ডাকাডাকি করে ওই কিশোরীর সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীদের নিয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখতে পায় ওড়না গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে স্থানীয়রা রায়পুরা থানা পুলিশকে খবর দেন।

খবর পেয়ে রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক মো. নাসির উদ্দিন ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে।

জানা যায়, ১৩ বছর আগে নিহতের বাবা মায়ের ছাড়াছাড়ি হয়। তারপর থেকে ওই কিশোরী বাবার সঙ্গে বাড়িতে একা বসবাস করছিল।

নিহতের চাচাত ভাই জুয়েল মিয়া জানান, গতকাল পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় এ নিয়ে মন খারাপ করে কান্নাকাটি করে। তার বাবা বাড়ির বাইরে কাজে ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় একা ঘরে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।

নিহতের বান্ধবী লিজা জানান, পরীক্ষায় ফেল করার পর থেকে রাত পর্যন্ত কান্নাকাটি করেছে। বাড়ির সবাই বোর্ডে পুনরায় যাচাইয়ের জন্য আবেদন করা হবে বলে সান্ত্বনা দেয়।

রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক মো. নাসির উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করি। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।