ঢাকা ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জনপ্রিয়তা অর্জন করতে নয় জনগণের সেবা করতেই শামীম গফুরের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:২৫:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৬২৫ বার পড়া হয়েছে

মাহবুব খান

শিবপুর পৌরসভার কৃতি সন্তান,একজন সমাজ সেবক ও পৌরসভা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শামীম গফুর আমেরিকান প্রবাসী।সেখানে রয়েছে তার ব্যাবসা বানিজ্য,সেই সাথে বিলাসবহুল জীবন।চাইলে আরাম আয়েশে কাটিয়ে দিতে পারেন জীবনের বাকি দিনগুলি।কিন্তু শামীম গফুর মনে প্রাণে একজন বাংলাদেশ প্রেমী।শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে গড়া একজন পরোপকারী মানুষ তিনি।জন্মভূমির জন্য রয়েছে অসীম টান,এখানকার অসহায়,দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষগুলোর জন্য রয়েছে অঘাত ভালোবাসা।তাদের জন্য কিছু একটা করতে পারলেই যেন মনে শান্তির সুবাতাস লাগে।তাইতো এই শীত মৌসুমে সুদূর আমেরিকা থেকে ছুটে এসেছেন শীতার্তদের মাঝে একটু উষ্ণতা ছড়িয়ে নিজের মনকে শান্ত করতে।শামীম গফুর গত কয়েকদিন ধরে শিবপুর পৌর এলাকার প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে ধারাবাহিকভাবে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করে যাচ্ছেন।তবে অন্য সকলের মতো তিনি দিনের আলোয় নয় রাতের আঁধারে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কম্বল বিতরণেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।তার এই ব্যাতিক্রমী মানব সেবায় সুবিধাভোগীরা অত্যন্ত খুশি।
তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ৭ নং ওয়ার্ডের চক্রধা কানাহোটা গ্রামে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন শামীম গফুর।
সমাজসেবক বীর মুক্তিযোদ্ধা কিরণ সরকারের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম মৃধা,পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মো: বেনু, পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া,পৌরসভা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি আলতাফ হোসেন প্রধান।সাবেক যুবদল নেতা কামাল হোসেনের সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন হাবিব মেম্বার,বিএনপি নেতা ও সমাজসেবক সাদেক,খাজাল উদ্দিন,মজনু,পৌর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হামিদ আফ্রাদ,যুবদল নেতা শরীফুল ও পৌর শ্রমিকদলের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল হালিম প্রমুখ।
রাতের আঁধারে কম্বল বিতরণ প্রসঙ্গে শামীম গফুর বলেন,আমি লোক দেখানোর জন্য জনপ্রিয়তা অর্জন করতে শীতার্তদের ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাড় করিয়ে কম্বল বিতরণ করছিনা।অসহায় মানুষগুলো যেন খুব সহজেই একটি কম্বল পায় সেজন্য তাদের খুব কাছে এসে গ্রামে গ্রামে গিয়ে তাদের হাতে কম্বল তুলে দিচ্ছি,এটাই আমার আত্মতৃপ্তি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Mahbub Khan Akash

"মুক্ত সংবাদ" আপনার মত প্রকাশে সদা জাগ্রত। আমরা কাজ করি সত্যের অন্বেষণে।
ট্যাগস :

জনপ্রিয়তা অর্জন করতে নয় জনগণের সেবা করতেই শামীম গফুরের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

আপডেট সময় : ০৫:২৫:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৩

মাহবুব খান

শিবপুর পৌরসভার কৃতি সন্তান,একজন সমাজ সেবক ও পৌরসভা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শামীম গফুর আমেরিকান প্রবাসী।সেখানে রয়েছে তার ব্যাবসা বানিজ্য,সেই সাথে বিলাসবহুল জীবন।চাইলে আরাম আয়েশে কাটিয়ে দিতে পারেন জীবনের বাকি দিনগুলি।কিন্তু শামীম গফুর মনে প্রাণে একজন বাংলাদেশ প্রেমী।শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে গড়া একজন পরোপকারী মানুষ তিনি।জন্মভূমির জন্য রয়েছে অসীম টান,এখানকার অসহায়,দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষগুলোর জন্য রয়েছে অঘাত ভালোবাসা।তাদের জন্য কিছু একটা করতে পারলেই যেন মনে শান্তির সুবাতাস লাগে।তাইতো এই শীত মৌসুমে সুদূর আমেরিকা থেকে ছুটে এসেছেন শীতার্তদের মাঝে একটু উষ্ণতা ছড়িয়ে নিজের মনকে শান্ত করতে।শামীম গফুর গত কয়েকদিন ধরে শিবপুর পৌর এলাকার প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে ধারাবাহিকভাবে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করে যাচ্ছেন।তবে অন্য সকলের মতো তিনি দিনের আলোয় নয় রাতের আঁধারে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কম্বল বিতরণেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।তার এই ব্যাতিক্রমী মানব সেবায় সুবিধাভোগীরা অত্যন্ত খুশি।
তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ৭ নং ওয়ার্ডের চক্রধা কানাহোটা গ্রামে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন শামীম গফুর।
সমাজসেবক বীর মুক্তিযোদ্ধা কিরণ সরকারের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম মৃধা,পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মো: বেনু, পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া,পৌরসভা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি আলতাফ হোসেন প্রধান।সাবেক যুবদল নেতা কামাল হোসেনের সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন হাবিব মেম্বার,বিএনপি নেতা ও সমাজসেবক সাদেক,খাজাল উদ্দিন,মজনু,পৌর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হামিদ আফ্রাদ,যুবদল নেতা শরীফুল ও পৌর শ্রমিকদলের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল হালিম প্রমুখ।
রাতের আঁধারে কম্বল বিতরণ প্রসঙ্গে শামীম গফুর বলেন,আমি লোক দেখানোর জন্য জনপ্রিয়তা অর্জন করতে শীতার্তদের ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাড় করিয়ে কম্বল বিতরণ করছিনা।অসহায় মানুষগুলো যেন খুব সহজেই একটি কম্বল পায় সেজন্য তাদের খুব কাছে এসে গ্রামে গ্রামে গিয়ে তাদের হাতে কম্বল তুলে দিচ্ছি,এটাই আমার আত্মতৃপ্তি।