আরও ৪৮ ঘন্টার অবরোধ আসছে
- আপডেট সময় : ০৫:১২:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ নভেম্বর ২০২৩
- / ১০২২ বার পড়া হয়েছে
অনলাইন নিউজ ডেস্ক
বিএনপি নেতৃত্বাধীন যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলো বুধ ও বৃহস্পতিবার আবারও ৪৮ ঘণ্টা অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে। আগামীকাল মঙ্গলবার তাদের কোনো কর্মসূচি থাকছে না।
বিএনপি ও তাদের যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের বেশ কয়েকটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, বিএনপির পক্ষ থেকে বিকেলে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন করে আর গণতন্ত্র মঞ্চ বিকেল ৪টায় সংবাদ সম্মেলন করে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন।
১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, ৮ ও ৯ তারিখ আমরা সারা দেশে আবারও ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালন করব।
এদিকে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট অলি আহমদ আজ এক বিবৃতিতে বলেন, বিএনপির ডাকা এই অবরোধ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করার জন্য এলডিপির নেতাকর্মীসহ দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। দেশবাসীর প্রতি আমার অনুরোধ— আপনারা নিজ নিজ এলাকায় আন্দোলনরত দলগুলোর সাথে সমন্বয় করে আগামী ৮ ও ৯ নভেম্বর বুধ ও বৃহস্পতিবার অবরোধ কর্মসূচি সফল করবেন।
নেতাকর্মীর স্বজনদের থানায় নিয়ে অবর্ণনীয় নির্যাতন করা হচ্ছে
সাহস থাকলে দেশে আসুন, তারেককে বললেন শামীম ওসমান
ধরিয়ে দিলে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার
উল্লেখ্য, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে এবং মির্জা ফখরুলসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে রোববার সকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। তাদের যুগপৎ আন্দোলনের শরিকরাও এই অবরোধ পালন করছে। পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীও আলাদা করে এই ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে। মঙ্গলবার সকাল ৬টায় শেষ হবে এ দফার অবরোধ।
এর আগে গত সপ্তাহের শেষ তিন দিন (৩১ অক্টোবর-২ নভেম্বর) টানা অবরোধ পালন করে বিএনপি-জামায়াত। তার আগে ২৯ অক্টোবর হরতাল পালন করে তারা।
গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বড় ধরনের সমাবেশ করে বিএনপি, জামায়াত ও আওয়ামী লীগ। সেদিন দুপুরের দিকে বিএনপির সমাবেশে আসা লোকজনের সঙ্গে কাকরাইল মোড়ের কাছে আওয়ামী লীগের সমাবেশগামী লোকজনের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ সেখানে হস্তক্ষেপ করার একপর্যায়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা হয়। বেশকিছু গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। উপস্থিত সাংবাদিকদেরও ব্যাপক মারধর করা হয়। পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও উপুর্যুপরি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে বিএনপির সমাবেশ ভণ্ডুল করে দেয়।
সংঘর্ষ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের এক সদস্যকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। আহত করা হয় একাধিক সদস্যকে। পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়ে কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
সমাবেশ বানচালের প্রতিবাদে পরের দিন ২৯ অক্টোবর বিএনপি হরতাল পালন করে। হরতালের দিন সকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি এখন কারাগারে আছেন।
হরতালের পর এক দিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি দেয় বিএনপি-জামায়াত। কর্মসূচির মধ্যে মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শামসুজ্জামান দুদু, শাহজাহান ওমর, জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হকসহ বিএনপির অনেক শীর্ষনেতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোর প্রথম ও দ্বিতীয় দফার অবরোধ কর্মসূচিতে সারা দেশে শতাধিক গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। গতকাল রোববার সারা দেশে ১৯টি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।
চলমান অবরোধে এমন সহিংসতা ও নাশকতা রোধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িতদের ধরিয়ে দিলে নগদ ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।