ব্রেকিং নিউজ ::
মারা গেলেন সিআইডি ধারাবাহিকের জনপ্রিয় চরিত্র ‘ফ্রেডি’ নরসিংদী-৩ আসনে বরেণ্য রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সমাধিতে তৃণমুল বিএনপি প্রার্থীর শ্রদ্ধাঞ্জলি নরসিংদীতে একই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন স্বামী-স্ত্রী শিবপুরে নিরাপদ সড়ক চাই এর সমাবেশ ও র‍্যালি অনুষ্ঠিত নরসিংদী-৩ (শিবপুর) আসনে আ’লীগের মনোনীত প্রার্থী ফজলে রাব্বি খানের মনোনয়ন পত্র জমাদান সম্পন্ন  শিবপুরে সকল ভেদাভেদ ভুলে নৌকাকে বিজয়ী করতে ফজলে রাব্বি খানের আহবান নরসিংদী-৩ শিবপুর আসন থেকে জাকের পার্টির মনোনয়ন পেলেন সাংবাদিক আলম খান নরসিংদী-৩ শিবপুর থেকে মনোনয়ন ফরম কিনলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসুম মৃধা দলীয় মনোনয়ন ফরম জমাদান উপলক্ষে সিরাজুল ইসলাম মোল্লার দোয়া ও মিলাদ মাহফিল মাহবুব খান এর নির্বাচিত কবিতা “আজব দুনিয়া”
ব্যাংক ঋণের সুদহার বাড়ছেই

ব্যাংক ঋণের সুদহার বাড়ছেই

নিউজ ডেস্ক:

চলতি বছরের জুলাইয়ে ১৮২ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের ৬ মাসের গড় সুদহার (স্মার্ট রেট) ছিল ৭ দশমিক ১০ শতাংশ, আগস্টে ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং সেপ্টেম্বরে বেড়ে হয় ৭ দশমিক ২০ শতাংশ। সবশেষ অক্টোবরে স্মার্ট রেট বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, অক্টোবর মাসের ‘স্মার্ট’ হারের সঙ্গে সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ শতাংশ হারে মার্জিন বা সুদ যোগ করে নভেম্বর মাসে ঋণ দিতে পারবে ব্যাংক। অন্যদিকে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ হারে মার্জিন যোগ করতে পারে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। অবশ্য একবার সুদহার কার্যকর করা হলে পরবর্তী ছয় মাসে তা আর পরিবর্তন করা যায় না।

ব্যাংকের সুদহার

অক্টোবর মাসের ‘স্মার্ট’ হারের সঙ্গে সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ শতাংশ হারে মার্জিন বা সুদ যোগ করে নভেম্বর মাসে ঋণ দিতে পারবে ব্যাংক। সেই হিসেবে, চলতি নভেম্বরে মাসে ব্যাংক থেকে বড় অংকের ঋণে সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ৯৩ শতাংশ সুদ নিতে পারবে। প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ঋণের সুদহার হবে ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। আর কৃষি ও পল্লী ঋণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ সুদ নিতে পারবে।

তবে ব্যক্তিগত ও গাড়ি কেনার ঋণে ব্যাংক নিতে পারবে ১১ দশমিক ৯৩ শতাংশ সুদ। কারণ সিএমএসএমই, ব্যক্তিগত ও গাড়ি কেনার ঋণে অতিরিক্ত ১ শতাংশ তদারকি বা সুপারভিশন চার্জ নেওয়া সুযোগ রয়েছে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদহার

ব্যাংকের ক্ষেত্রে শুধু ঋণে সর্বোচ্চ সীমা থাকলেও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানত সংগ্রহেও সুদহারের একটা সর্বোচ্চ সীমা দেওয়া হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান স্মার্টের সঙ্গে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ সুদ যোগ করে আমানত সংগ্রহ করতে পারবে। ‘স্মার্ট’ রেটের সঙ্গে সর্বোচ্চ সাড়ে ৫ শতাংশ হারে মার্জিন যোগ করে ঋণের বিপরীতে সুদ নিতে পারবে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান এনবিএফআই। সেই হিসেবে নভেম্বর মাসে তাদের সর্বোচ্চ সুদহার হবে ১৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং আমানতে ১০ দশমিক ৪৩ শতাংশ। তবে নভেম্বরে ঠিক করা ঋণের এই সুদহার পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে পরিবর্তন করা যাবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১৮২ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের ৬ মাসের গড় সুদহার প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, গত জানুয়ারিতে স্মার্ট ছিল ৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এরপর প্রতি মাসে একটু করে বেড়ে গত মে মাসে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ১৩ শতাংশ। জুন ও জুলাইয়ে সামান্য কমে ৭ দশমিক ১০ শতাংশে নামে। এরপর আগস্ট থেকে ধারাবাহিক সুদহার বাড়ছে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর পরামর্শে ৯০ দশক থেকে নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে বাজারভিত্তিক সুদহার ব্যবস্থা চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিতে ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ৯ শতাংশ সুদহারের সীমা আরোপ করা হয়। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ডলারের বাজার স্থিতিশীল করতে বিভিন্ন পর্যায় থেকে সীমা তুলে নেওয়ার জন্য বলা হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক গবেষণা প্রতিবেদনেও সুদহারের সীমা প্রত্যাহার অথবা বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়। কিন্তু সরকারের ইতিবাচক সায় না পাওয়ায় নীরব ছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের অন্যতম শর্ত সুদহার বাজারভিত্তিক করা। সেই শর্তের আলোকে নতুন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।

মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির জন্য এত দিন মূলত ডলারের মূল্যবৃদ্ধিকে দায়ী করে আসছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি কমানোর চেষ্টা করছে। সুদের হার বাড়লে মানুষ সাধারণত ব্যাংকে আমানত রাখতে উৎসাহিত হবে।

ভুল নীতির কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে জানিয়ে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) এর নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান।

তিনি বলেন, আমাদের কিছু ভুল নীতির কারণে মূল্যস্ফীতি মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। এর মধ্যে অন্যতম আমাদের সুদহার ৯ শতাংশ একটি জায়গায় দীর্ঘদিন আটকে রাখা হয়েছিল। সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা বাড়ানো হয়েছে তবে এটাও একটি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা হয়েছে। চলমান পরিস্থিতিতে সুদহার বাজার ভিত্তিক করা জরুরি।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বলছে, গত জুন ও জুলাই মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমার পর আগস্ট মাসে তা আবার বেড়েছে। আগস্টে মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। এই সময় দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হঠাৎ অনেকটা বেড়ে গেছে। খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার উঠেছিল ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশে। যা বিগত বছরে কখনও হয়নি। এর আগের মাসে এই খাতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯.৭৬ শতাংশ। অর্থাৎ আগস্টে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ২.৭৮ শতাংশ।

সামাজিক যোগাযোগ এ শেয়ার করুন

পুরাতন সংবাদ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
© সকল স্বত্ব www.muktasangbad.com অনলাইন ভার্শন কর্তৃক সংরক্ষিত