প্রকাশ্যে এলো চিত্রনায়িকা পপির সন্তান-স্বামীর পরিচয়
- আপডেট সময় : ০৮:০৬:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ৯১৬ বার পড়া হয়েছে
বিগত তিন বছর ধরেই পর্দার আড়ালে রয়েছেন ঢাকাই সিনেমার এক সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভিন পপি। হঠাৎ করেই নিজেকে আড়াল করে রেখেছেন অভিনেত্রী। তবে পপির আত্নগোপনে থাকা নিয়ে রয়েছে নানান জল্পনা কল্পনা ।
প্রথমদিকে পপির এ অনুপস্থিতিকে স্বাভাবিক মনে করেছিলেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু সময় যতই এগোতে থাকে ততই তাকে ঘিরে ধোঁয়াশা তৈরি হয়।
এমন দীর্ঘ আত্মগোপনে আগে কখনো যাননি পপি। হঠাৎ করে নায়িকার আড়ালে যাওয়ার রহস্য খুঁজতে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে তার গোপন সংসার ও সন্তান জন্মের খবর।
২০২১ সালের অক্টোবরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন পপি। এরপর তার বিয়ের খবর ও সন্তান জন্মের প্রথম খবর প্রকাশ্যে আসে। এরপর ধারাবাহিকভাবে গণমাধ্যমে তার সংসার জীবন নিয়ে কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
চিত্রনায়িকা পপির স্বামী আদনান উদ্দিন কামাল ।
এবার অনুসন্ধানে বেরিয়ে এলো পপির স্বামীর পরিচয়, ছবি ও সন্তানের নাম। পপির পারিবারিক সূত্রটি জানান, নায়িকা তার সন্তানের নাম রেখেছেন আয়াত। প্রথম সন্তানের বয়স দুই বছর। আর পপির স্বামীর নাম আদনান উদ্দিন কামাল। তিনি জান্নাত গ্রুপ অব কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর, রয়েছে জাহাজের ব্যবসাও। তিনি লালবাগ কাজী রিয়াজ উদ্দিন রোডের বাসিন্দা।
বর্তমানে স্বামী-সন্তান নিয়ে ধানমন্ডিতে বসবাস করছেন পপি। এর আগে উত্তরায় বসবাস শুরু করলে অনেকেই সে ঠিকানা জেনে গেলে দ্রুত ঠিকানা বদল করেন। এটি পপির প্রথম বিয়ে হলেও স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে। প্রথম সংসারে এক পুত্রসন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে। এমনকি আদনান কামালের ফেসবুকেও সন্তানকে নিয়ে ছবি পাওয়া গেছে।
স্বামীর পরিবার পপিকে এখনো মেনে নেয়নি। নায়িকারও তার নিজের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। মাঝে ছোট বোন সুমির সঙ্গে দেখা কিংবা যোগাযোগ হলেও এখন সেটিও বন্ধ। অনেকটা বাসাবন্দি এই নায়িকা। নেই পরিবারের কারো সঙ্গেই যোগাযোগ।
অথচ একবার সাক্ষাৎকারে পপি বলেছিলেন, শুটিং না থাকলে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতেই ভালো লাগে তার। এ প্রসঙ্গে সেসময় তিনি বলেন, আমার কাছে পরিবার সবার আগে। তাই যতটা সম্ভব পরিবারের মানুষের সঙ্গে সময় কাটানোর চেষ্টা করি। যারা আমার অভিনয় পছন্দ করেন, তাদেরও বলি পরিবারকে বেশি করে সময় দেবেন।
সেই পরিবারের সঙ্গে পপির এখন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। তিন বছর ধরে বাবা-মা এবং আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে নেই কোনো ধরনের যোগাযোগ। মাঝে ছোট বোন সুমির পপির নতুন ঠিকানায় যাতায়াত থাকলেও বর্তমানে স্বামীর অনিচ্ছায় সেটিও বন্ধ।