ঢাকা ০৬:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিবপুর পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৩৮:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৬৭৬ বার পড়া হয়েছে

 

শিবপুর প্রতিনিধি: নরসিংদী পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর শিবপুর জোনাল অফিসের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। পরিশোধিত বিল বকেয়া দেখানো ও ভৌতিক বিল করাসহ গ্রাহকদের হয়রানি করা হচ্ছে। আবার সেই বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের জন্য সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে।

পুনঃসংযোগ পেতেও গুনতে হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। এসব বিষয়ে অভিযোগ দিয়েও গ্রাহকরা সময়মতো প্রতিকার পাচ্ছেন না। পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে কোনো বিষয়ে জানতে গেলে গ্রাহকদের সঙ্গে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের খারাপ আচরণ করারও অভিযোগ রয়েছে।

জানা গেছে, জরুরি প্রয়োজনে শিবপুর পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের হেল্প লাইন নাম্বারে কল করে বেশিরভাগ সময় তাদের ফোন বন্ধ বা ব্যস্ত পাওয়া যায়। মাঝেমধ্যে কল ধরলেও গ্রাহকদের সাথে খারাপ আচরণ করা হয়। অতিরিক্ত লোডশেডিং আর দিনে মাত্র কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ দিয়েই বিল করা হয় আগের চেয়ে দ্বিগুণ। মাঠে না গিয়ে মুখস্থ বিল লেখার অভিযোগও রয়েছে।

মোঃ রিফাত ভূঁইয়া নামের একজন ব্যক্তি বলেন, আমি জুলাই মাসের বিদ্যুৎ বিল বিকাশে পরিশোধ করি। তারপরও আগস্ট মাসে জুলাই মাসের বিদ্যুৎ বিল যুক্ত হয়। তা সংশোধন করতে অফিসে গেলে আমার সাথে তুই তো কারি ভাবে খারাপ আচরণ করে। সংশোধন করার পর নতুন প্রিন্টের জন্য ১০ টাকা খরচ হয় বলে তাদের নাকি লোকসান হচ্ছে। কিছু বলতে গেলেই তারা বলে এত বেশি কথা কস কে?

লুৎফর রহমান নামের এক ব্যক্তি বলেন, মিটারে বর্তমান রিডিং আছে ১৪৮৫২। আর বিলের কাগজে রিডিং এসেছে ১৫২০০। আমার ছাড়াও এলাকার আরো বেশ কয়েকজনের বিদ্যুৎ বিল বেশি এসেছে।

খড়িয়া গ্রামের রাকিবুল জানান, গত দুই মাস বাড়িতে কেউ ছিলনা এরপরও ১৭০০ টাকা বিদ্যুৎ বিল এসেছে। আমার ঘরে একটি লাইট ও একটি ফ্যান রয়েছে। আমরা যদি বাড়িতেও থাকতাম তাহলেও দুই মাসে সর্বোচ্চ ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা বিল আসার কথা।

এদিকে শিবপুর বিদ্যুৎ অফিসে হয়রানি ও অতিরিক্ত বিল সহ লোডশেডিং নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করছেন গ্রাহকরা। আর এর প্রেক্ষিতে রোববার (০১ সেপ্টেম্বর) শিবপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম সাইফুল আলমের সাথে সাক্ষাৎ করতে যান উপজেলার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমাজের একাংশ।

ছাত্ররা জানায়, সাক্ষাতের প্রথম থেকেই আমাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তিনি (ডিজিএম) বিষয়টাকে ঘোলাটে করে ফেলেন। একপর্যায়ে তিনি আমাদেরকে কথা সংক্ষিপ্ত করতে বলেন, না হয় চলে যেতে নির্দেশ দেন। তা না হলে তিনি এমন কথা বলবেন যা আমাদের খারাপ লাগবে। এসবের পর কথা কাটাকাটি শুরু হয় এবং আমরা চলে আসতে বাধ্য হই। ওনার (ডিজিএম সাইফুল আলম) ব্যবহার ছিল খুবই জঘন্য। একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আচরণ কিভাবে এত খারাপ হয়?

এ ব্যাপারে শিবপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম মোঃ সাইফুল আলম বলেন, আমি ছাত্রদের সাথে খারাপ আচরণ করিনি। তারা যে প্রশ্ন করেছে আমি তার উত্তর দিয়েছি।

মাঠে না গিয়ে মুখস্থ বিল লেখা ও অতিরিক্ত বিল আসার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, অতিরিক্ত বিলের বিষয়টি সারাদেশেই এখন আলোচনায়। তবে মাঠে না গিয়ে মুখস্ত বিদ্যুৎ বিল লেখার বিষয়ে এখনো আমি কোন অভিযোগ পাইনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

শিবপুর পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ

আপডেট সময় : ০২:৩৮:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

শিবপুর প্রতিনিধি: নরসিংদী পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর শিবপুর জোনাল অফিসের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। পরিশোধিত বিল বকেয়া দেখানো ও ভৌতিক বিল করাসহ গ্রাহকদের হয়রানি করা হচ্ছে। আবার সেই বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের জন্য সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে।

পুনঃসংযোগ পেতেও গুনতে হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। এসব বিষয়ে অভিযোগ দিয়েও গ্রাহকরা সময়মতো প্রতিকার পাচ্ছেন না। পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে কোনো বিষয়ে জানতে গেলে গ্রাহকদের সঙ্গে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের খারাপ আচরণ করারও অভিযোগ রয়েছে।

জানা গেছে, জরুরি প্রয়োজনে শিবপুর পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের হেল্প লাইন নাম্বারে কল করে বেশিরভাগ সময় তাদের ফোন বন্ধ বা ব্যস্ত পাওয়া যায়। মাঝেমধ্যে কল ধরলেও গ্রাহকদের সাথে খারাপ আচরণ করা হয়। অতিরিক্ত লোডশেডিং আর দিনে মাত্র কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ দিয়েই বিল করা হয় আগের চেয়ে দ্বিগুণ। মাঠে না গিয়ে মুখস্থ বিল লেখার অভিযোগও রয়েছে।

মোঃ রিফাত ভূঁইয়া নামের একজন ব্যক্তি বলেন, আমি জুলাই মাসের বিদ্যুৎ বিল বিকাশে পরিশোধ করি। তারপরও আগস্ট মাসে জুলাই মাসের বিদ্যুৎ বিল যুক্ত হয়। তা সংশোধন করতে অফিসে গেলে আমার সাথে তুই তো কারি ভাবে খারাপ আচরণ করে। সংশোধন করার পর নতুন প্রিন্টের জন্য ১০ টাকা খরচ হয় বলে তাদের নাকি লোকসান হচ্ছে। কিছু বলতে গেলেই তারা বলে এত বেশি কথা কস কে?

লুৎফর রহমান নামের এক ব্যক্তি বলেন, মিটারে বর্তমান রিডিং আছে ১৪৮৫২। আর বিলের কাগজে রিডিং এসেছে ১৫২০০। আমার ছাড়াও এলাকার আরো বেশ কয়েকজনের বিদ্যুৎ বিল বেশি এসেছে।

খড়িয়া গ্রামের রাকিবুল জানান, গত দুই মাস বাড়িতে কেউ ছিলনা এরপরও ১৭০০ টাকা বিদ্যুৎ বিল এসেছে। আমার ঘরে একটি লাইট ও একটি ফ্যান রয়েছে। আমরা যদি বাড়িতেও থাকতাম তাহলেও দুই মাসে সর্বোচ্চ ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা বিল আসার কথা।

এদিকে শিবপুর বিদ্যুৎ অফিসে হয়রানি ও অতিরিক্ত বিল সহ লোডশেডিং নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করছেন গ্রাহকরা। আর এর প্রেক্ষিতে রোববার (০১ সেপ্টেম্বর) শিবপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম সাইফুল আলমের সাথে সাক্ষাৎ করতে যান উপজেলার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমাজের একাংশ।

ছাত্ররা জানায়, সাক্ষাতের প্রথম থেকেই আমাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তিনি (ডিজিএম) বিষয়টাকে ঘোলাটে করে ফেলেন। একপর্যায়ে তিনি আমাদেরকে কথা সংক্ষিপ্ত করতে বলেন, না হয় চলে যেতে নির্দেশ দেন। তা না হলে তিনি এমন কথা বলবেন যা আমাদের খারাপ লাগবে। এসবের পর কথা কাটাকাটি শুরু হয় এবং আমরা চলে আসতে বাধ্য হই। ওনার (ডিজিএম সাইফুল আলম) ব্যবহার ছিল খুবই জঘন্য। একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আচরণ কিভাবে এত খারাপ হয়?

এ ব্যাপারে শিবপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম মোঃ সাইফুল আলম বলেন, আমি ছাত্রদের সাথে খারাপ আচরণ করিনি। তারা যে প্রশ্ন করেছে আমি তার উত্তর দিয়েছি।

মাঠে না গিয়ে মুখস্থ বিল লেখা ও অতিরিক্ত বিল আসার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, অতিরিক্ত বিলের বিষয়টি সারাদেশেই এখন আলোচনায়। তবে মাঠে না গিয়ে মুখস্ত বিদ্যুৎ বিল লেখার বিষয়ে এখনো আমি কোন অভিযোগ পাইনি।